A network of local CSOs and NGOs in Cox’s Bazar to promote a human and gender responsive society through positive engagement with government.

কক্সবাজার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯: গতকাল ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে কক্সবাজারের একটি পাঁচতারা হোটেলে ‘দ্যা রিচার্ডসন সেন্টার’, যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এবং সিসিএনএফ যৌথভাবে উক্ত মত বিনিময় সভা আয়োজন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিসিএনএফ এর কো-চেয়ার ও কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী, সাইমুন বীচ রিসোর্ট লিমিটেডের উর্ধ্বতন ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ সাবেদুর রহমান, সিসিএনএফ এর কো-চেয়ার ও মুক্তির নির্বাহী পরিচালক বিমল দে সরকার, মৎ বিশেষজ্ঞ মোঃ আবেদ আহসান সাগর, কক্সবাজারের নারী উদ্যেক্তা লুৎফুন্নাহার বাপ্পী ও ফ্যাশন ডিজাইনার তানজিম সিদ্দিকা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের স্টীব রোজের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলসহ কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধদল এবং স্থানীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রেজাউল করিম চৌধুরী। চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ অফিসিয়াল কাজে দেশের বাহিরে থাকায় টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত হন।

অনুষ্ঠানে আলোচনায় সবাই, কক্সবাজারের স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পন্যসমুহকে ‘মেড ইন কক্সবাজার’ নামে ব্র্যান্ডিং করার পরামর্শ দেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে মোঃ সাবেদুর রহমান সভায় আগত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলসহ সকলকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, কক্সবাজাওে রয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার হতে পাওে বানিজ্যের অন্যতম কেন্দ্র। অনুষ্ঠানে বিমল দে সরকার বলেন, কক্সবাজারবাসী রোহিঙ্গা নাগরিকদের আশ্রয় দিয়ে এক উজ¦ল মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশের মানবতার পরিচয় দিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকারের মেঘা প্রকল্পে কক্সবাজার আন্তার্জাতিক এয়ারপোর্ট, চট্টগ্রাম ও কক্সাবাজার রেল লাইন, মাতারবাড়ী বিদ্যুত প্রকল্প এবং সোনাদিয়ার গভীর সমুদ্র বন্ধর, মহেশখালী ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল এ অঞ্চলের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধশালী করবে। এসব মেঘা প্রকল্পের ফলে কক্সবাজারে শিল্পায়নের নতুন ধার উম্মুক্ত হবে। বিদেশী ব্যবসায়িক অতিথিরা এগিয়ে আসলে পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে কক্সবাজারের শিল্পকে এগিয়ে নেওয়া যাবে। অনুষ্ঠানে টেলিকনফারেন্সে যোগ দিয়ে আবু মোর্শেদ জানান, ২০১৮ সালে কক্সবাজারে রেকর্ড পরিমান লবন উৎপাদিত হয়েছে। প্রযুক্তি সহায়তা পেলে এই উৎপাদন আরও বাড়বে।

লুৎফুন্নাহার বাপ্পী বলেন, আমরা নিজেদের উদ্যোগ্যে ক্ষুদ্র পরিসরে কুটির শিল্পের ব্যবসা শুরু করেছি। কারগরি সহায়তা পেলে আমরা ব্যবসাকে আরও সম্প্রসারণ করতে পারবো। এছাড়া তানজিম সিদ্দিকা বলেন, আমি অনেক দিন ধরে ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে কাজ করি। আমি ব্যবসাটিকে আরও সম্প্রসারণ করতে চাই। পারস্পারিক সহযোগিতা পেলে কক্সবাজারের উৎপাদিত পণ্যকে একটি ব্রান্ড হিসাবে তুলে ধরতে পারবো। কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের গভর্নিং বডির সদস্য এবং মৎ বিশেষজ্ঞ মোঃ আবেদ আহসান সাগর বলেন, সমুদ্র আমাদের অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ। সমুদ্রের মাছ ও প্রক্রিয়াজাত শুটকি এ অঞ্চলের অন্যতম শিল্প। দেশের চাহিদা মিটিয়েও শুটকি রপ্তানী হচ্ছে চীন, হংকং সহ অন্যান্য দেশে। এইখাতে প্রযুক্তিগত সহায়তা পেলে এর উৎপাদন ও বাজার সম্প্রসারণ করা সম্ভব।

আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে স্টীব রোজ বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বের নিকট কক্সবাজারবাসী ও বাংলাদেশ সরকার এক মানবতার পরিচয় দিয়েছেন। আমরা জানি রোহিঙ্গাদের কারনে স্থানীয়দের কিছু সমস্যা হচ্ছে। এখানে নারী উদ্যোক্তাসহ অনেক সম্ভাবনাময় শিল্প রয়েছে। বিশ্বের দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত এবং সমুদ্রিক মাছকে আরও বেশী করে কাজে যুক্ত করা যায়। আমরা আপনাদের ব্যবসায়িক কর্মকান্ড ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা শুনেছি, এটি দু দেশের ব্যবসায়িদের মধ্যে প্রথম উদ্যোগ। ভবিষ্যতে এ ধরনের সভা অব্যাহত থাকবে। আমরা আলোচনা সাপেক্ষ্যে কক্সাবাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী। আমরা চাই কক্সবাজারের উৎপাদিত পণ্য মেড ইন কক্সবাচার ব্রান্ড হিসাবে পরিচিত হোক এবং এ ব্যবসা দেশে এবং দেশের বাহিরে রপ্তানী হউক।

পরিশেষে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সরকারের মেঘা প্রকল্প গ্রহনের ফলে এ অঞ্চলে পর্যটদের আগমন আরও বাড়বে, পর্যটকদের সেবার মান বাড়াতে এ অঞ্চলে আধুনিকমানের হোটেল ও দক্ষকর্মী গড়ে তুলতে হবে। হোটেল কর্মীদের দক্ষতা প্রশিক্ষনের প্রয়োজন। তিনি বলেন, কক্সবাজারের স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত পন্য হবে বিশ^মানের। পরিচিত হবে ‘মেড ইন কক্সবাজার’ নামে।
Photos

Newslink

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *