কক্সবাজার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৮। আজ কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক মতিবিনিময় সভায় রোহিঙ্গা ত্রাণ তৎপরতায় ছাড়কৃত তহবিলের ২৫ শতাংশ স্থানীয় জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যয় করার দাবি করেন স্থানীয় এনজিও ও সুশীল সমাজ সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ। তারা স্থানীয় এনজিওদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আই.এন.জি.ওদের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে বলেও অভিমত প্রকাশ করেন। কক্সবাজার সি.এস.ও -এন.জি.ও ফোরামের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.cxb-cso-ngo.org উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এই সভার আযোজন করা হয়।
ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন. মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যবাসন কমিশনার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম (এনডিসি)। সভা সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার সি.এস.ও-এন.জিও ফোরামের কো-চেয়ার আবু মোরশেদ চৌধুরী (খোকা)।
কক্সবাজার সিএসও-এনজিও ফোরামের ওয়েবসাইটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আই.এস.সি.জি এর সমন্বয়কারী মিস মার্গো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাহিদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন। অনুষ্ঠানে আই.এন.জি.ও এবং এন.জি.ওদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সিএসও-এনজিও ফোরামের সদস্য সচিব ও কোস্ট ট্রাস্ট-এর সহকারী পরিচালক মকবুল আহমেদ; আই.এস.সি.জি এর সমন্বয়কারী মিস মার্গো, মুক্তি কক্সবাজার এর প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকার; শব্দায়ন আবৃত্তি একাডেমীর পরিচালক জসিম উদ্দীন বকুল, ইপসা কক্সবাজার জেলা টিম লিডার খালেদা বেগম, হেল্প কক্সবজার এর নির্বাহী আবুল কাশেম, নোঙর এর প্রধান নির্বাহী দিদারুল আলম রাশেদ।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যবাসন কমিশনার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, গত ২৫ আগস্ট স্মরণকালের স্মরণাতীত নির্যাতিত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকালে প্রাথমিক পর্যায়ে স্থানীয় জনগণ ও এন.জি.ওদের সহযোগিতা অনস্বীকার্য। প্রায় সাত লক্ষ নবাগত রোহিঙ্গাদের সার্বিক জরুরী সাহায্য প্রদানের জন্য সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় এন.জি.ও-দের কর্মতৎপরতা লক্ষণীয়। স্থানীয় জনগণের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি এনজিও এবং সি.বি.ও-দের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আই.এন.জি.ও এবং ইউ.এন-এর দৃষ্টি আকর্ষণ/গ্রান্ড বার্গেনিং বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কক্সবাজার সিএসও-এনজিও ফোরামের মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানান। উপস্থিত আই.এন.জি.ও প্রতিনিধিদের উদ্দ্যেশ্যে তিনি আরো বলেন, প্রায় দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা টেকনাফ এবং উখিয়ায় সাময়িক অবস্থানের ফলে ইতিমধ্যে পরিবেশসহ বহুমাত্রিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। রোহিঙ্গাদের জরুরী সেবার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এন.জি.ও এবং আই.এন.জি.ও-দের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
সি.এস.ও-এন.জিও ফোরামের ওয়েবসাইটের উদ্বোধক কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, সি.এস.ও-এন.জিও ফোরামের ওয়েবসাইট তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সরকার এবং জনগণকে সহযোগিতা করবে। সাম্প্রতিককালে জরুরী ত্রাণ তৎপরতার ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি কর্মরত আই.এন.জিও এবং এনজিওদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তিনি আরো বলেন, জনস্বার্থ এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষার্থে এন.জি.ও-দের কাছ থেকে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতামূলক কর্মতৎপরতা সরকারের প্রত্যাশা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি ও কক্সবাজার সি.এস.ও-এন.জিও ফোরামের কো-চেয়ার আবু মোরশেদ চৌধুরী (খোকা) বলেন, নবগঠিত ওয়েবসাইট-টি অল্প কিছুদিনের মধ্যে পরিপূর্ণতা পাবে এবং সাংবাদিকসহ জনগণ এন.জি.ও র কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে। তিনি আরো বলেন রোহিঙ্গারা নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত স্থানীয় জনগণ এবং রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থানের ব্যবস্থা করা এখন সময়ের দাবি। ত্রাণ তৎপরতা ছাড়কৃত অর্থের ২৫ শতাংশ স্থানীয় জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যয় করতে হবে এবং স্থানীয় এনজিওদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আই.এন.জি.ওদের উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
কক্সবাজার সিএসও-এনজিও ফোরামের ওয়েবসাইটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেশী-বিদেশী এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ আরো উপস্থিত ছিলেন ব্রাক, কোডেক, নেকম, শেড, একলাব, এনজিও ফোরাম, অগ্রযাত্রা, পালস বাংলাদেশ, জাগো নারী, আইএসডিই, জালালাবাদ ফাউন্ডেশন, লিডারস, বাংলা জার্মন সম্প্রতি, কারিতাস, ওয়াটার এইড, অক্সফাম, টিডি এইচ, এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ, ডব্লিই ভি আই, রিসডা বাংলাদেশ, স্পেস, বিএনডিব্লিউএ, পেনি আপীল, জেনাসসহ বিভিন্ন স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও-র প্রতিনিধিবৃন্দ।
Please download [Bangle Press] [Position paper]
Photos
Newspaper link
Newspaper cutting